লোয়ার অর্ডার ব্যাটার হিসেবেই পরিচিতি অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। সাধারণত তিনি ব্যাটিং পান সাধারণত ৭, ৮ বা ৯ নম্বর পজিশনে। তবে দলের প্রয়োজনে এর আগে ওয়ানডেতে ওপেন করেছেন। লিটন দাসকে নিয়ে গড়েছিলেন শতরানের জুটি।

আরও একবার মিরাজ ওপেনিংয়ে সুযোগ পেলেন, আবারও করলেন বাজিমাত। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন একদম নিচের দিকে, ৮ নম্বরে নেমে। দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা এলো ওপেনিংয়ের মতো কঠিন পজিশনে।

মিরাজ তার ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার আর জায়গাই রাখলেন না। আফগানিস্তানের বিপক্ষে রোববার ১১২ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন মিরাজ। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।

ওপেনিং জুুটিতে নাইম শেখের সঙ্গে ৬০ রানের জুটির পর তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ১৯৪ রান যোগ করেন মিরাজ। আউট হননি। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। ১১৯ বলে ৭ চার আর ৩ ছক্কায় ১১২ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। হাতে আঘাত পেয়ে ব্যাটিং ছেড়ে উঠে গিয়েছিলেন। তবে পরে ঠিকই দলের প্রয়োজনে বোলিং করেছেন। ৮ ওভার বল করে ৪১ রানে একটি উইকেটও নেন অফস্পিনিং এই অলরাউন্ডার।

ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে বাংলাদেশকে জেতানোর দিন স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে মিরাজের হাতে। এর সঙ্গে আরও একটি পুরস্কার নিজের করে নিয়েছেন তিনি।

ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ৩টি ছক্কা হাঁকানো ব্যাটার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। আমার মনে হয়, টিম ম্যানেজম্যান্ট আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছে। এটা দারুণ উইকেট ছিল, বল সহজেই ব্যাটে এসেছে। আমি শুধু লাইন বুঝে খেলতে চেষ্টা করছি। শান্তর সঙ্গে জুটিটা দারুণ ছিল।’